সাজিদ খানের বোলিং নৈপূণ্যে ফলোঅনে পড়ে ৮৭ রানেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসেও একই চিত্র চিত্র। মাত্র ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়কে বোল্ড করেছেন হাসান আলি। এরপর সাদমানকে এলবি ডব্লিউ এর ফাঁদে ফেলেছেন শাহীন আফ্রিদি। তারপর মুমিনুলকে ফিরিয়েছেন হাসান আলি। শাহিন আফ্রিদির বলে ফাওয়াদ আলমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হতো মাত্র ১০১ রান। কিন্তু সেটিও করতে পারলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হোম অব ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো একশ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবে ফলোঅনে পড়েছে মুমিনুল হকের দল।
আগের দিন করা ৭ উইকেটে ৭৬ রানের সঙ্গে আজ যোগ হয়েছে আর মাত্র ১১ রান। সবমিলিয়ে দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন ৮৭ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঠিক ৮৭ রানেই অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
ফলোঅন এড়াতে দরকার ছিলো মাত্র ২৪ রান। কাঁধে বড় দায়িত্ব নিয়ে উইকেটে আসেন তাইজুল ইসলাম আর সাকিব আল হাসান। তবে, মাঠে নেমেই সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তাইজুল। শূন্য রানে ফেরেন তাইজুল। হাতে থাকে আর মাত্র ২ উইকেট। এরপর সাকিবকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন খালেদ আহমেদ। কিন্তু, শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়।
শেষ উইকেটে সাকিবের সাথে থাকেন ইবাদত হোসেন। কিন্তু, ঢাকা টেস্টের অন্যতম সফল বোলার সাজিদ খানের শিকারে পরিণত হন সাকিব আল হাসান। শেষ দিনে ফলোঅন এড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি উইকেটে এসেছে মাত্র ১১ রান।