আমাদের সাহসী ছাত্রদের নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে চোরতন্ত্র ও গুমতন্ত্রের প্রধানকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছে।’আরো পড়ুনজুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার
‘হাসিনার পলায়নের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই সময়ের মধ্যে এ সরকার দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এনেছে, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেছে। অর্থনৈতিক পতন এবং রাষ্ট্রের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দূর হয়েছে।
তবে আমরা এখনো ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো জবাব পাইনি।’‘তবে জুলাইয়ে বিপ্লবে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যার বিচার ও জবাবদিহির মুখোমুখি করতে আমরা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় নিরলস থাকব। গণহত্যা এবং হাজার হাজার মানুষকে গুম, প্রায় ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার, ব্যাংক ডাকাতি এবং হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার খুনি সহযোগীদের বিচার করা হবে।’‘হাসিনা ও অন্য আ. লীগ নেতারা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা খুন ও দুর্নীতিতে জড়িত তাদের বিচার এ সরকারের মূল অগ্রাধিকার। খুনের অভিযোগে ছাত্রলীগকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘হাসিনা আড়ালে থেকে মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। তার সমর্থকরা এখনো বিভ্রমে ভুগছেন। আ. লীগের নেতাকর্মীরা এখনো গণহত্যাকে অস্বীকার করছেন। পাঁচ মাস কেটে গেলেও হাসিনা, শেখ পরিবার বা দলের সদস্যদের কোনো অনুশোচনা নেই। এর পরিবর্তে তারা মিথ্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তারা ভারতীয় মিডিয়ার কাছে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে। তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করছে গুজব ছড়াতে।’
‘হাসিনা ও তার দলের রক্তপিপাসু সদস্যদের হত্যা ও দুর্নীতির মামলায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপস হবে না। কোনো লবিং হাসিনা ও তার খুনি সহযোগীদের উপকারে আসবে না। পৃথিবী এগিয়ে গেছে। আর হাসিনার পৃথিবী সংকুচিত হয়ে নয়াদিল্লির কয়েকটি ছোট কক্ষে সীমিত হয়েছে। আ. লীগের কর্মীরা যতই হাসিনার শাড়ির আঁচল আঁকড়ে ধরবে, দলের জন্য বিপদ ততই বড় করবে।’
‘রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসার কিছু আশা এখনো আছে তাদের। তবে তার আগে গণহত্যা, খুন, গুম ও লুটপাটের জন্য হাসিনার বিচার চাইতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা হাসিনা ও পরিবারকে ইতিহাসের ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেছে।