‘সরকারের মধ্যেই কোনো গোষ্ঠী নির্বাচন বিলম্বিত করতে সক্রিয় হয়েছে’- এমন আশঙ্কা বিবেচনায় নিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচনের জন্য ‘সরকারের ওপর চাপ তৈরির’ জন্য সব দলকে এক জায়গায় আনতে কাজ শুরু করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র নেতাদের কয়েকজন এই ধারণা দিয়েছেন যে, সরাসরি সরকারের বিরোধিতা করার চিন্তা এখনও নেই। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি ও নির্বাচনের জন্য মাঠে নামার প্রয়োজন হলে সবাই যেন একযোগে কর্মসূচি নিয়ে নামতে পারে- সেই প্রেক্ষাপট তৈরিই এখন দলটির লক্ষ্য।
বিএনপি ও আরও দুটি দলের নেতারা বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কথায় তারা কোনো আস্থা পাচ্ছেন না। যার মূল কারণ হলো নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞের কোনো প্রাক-প্রস্তুতিই সরকার এতদিনে শুরু করেনি বা করতে পারেনি।
এমন পটভূমিতে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে শনিবার থেকে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। আগামী দু’সপ্তাহ জুড়ে এসব বৈঠকের পর দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য আরও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের একাধিক নেতা।
“নির্বাচনকে বিলম্বিত করা কিংবা না করার একটি চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সরকারের মধ্যেও একটি গোষ্ঠী এগুলোর সাথে আছে বলে মনে হয়। এ প্রেক্ষাপটে আমরা আমাদের কর্মকৌশল ও কর্মপন্থা নিয়ে সমমনা দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছি,” বিবিসি বাংলাকে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে ‘একটি সর্বোত্তম’ নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা আজ আবারো উল্লেখ করেছেন। ঢাকায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধি তার সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নির্বাচনটি হবে দেশের ইতিহাসের সেরা এবং দেশের গণতন্ত্রের যাত্রায় মাইলফলক।”