তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তানকে ১০৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারল না লাল-সবুজের দল। ওপেনিং জুটির ব্যর্থতায় শুরুতেই ধাক্কা খেল স্বাগতিকরা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ করেছে মাত্র ১০৮ রান।
প্রথম ১০ ওভারে রান ৬৪ করা দল পরের ১০ ওভারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে করতে পারল মোটে ৪৪ রান।
গত ম্যাচের সেরা পারফরমার হাসান আলিকে বসিয়ে রেখে আজ শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে নামান বাবর আজম।
আর আফ্রিদি একাদশে ফিরে খুব একটা সময় নেননি। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন সাইফ হাসানকে। অভিষেক ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়ার পর তরুণ ওপেনার এবার মারলেন গোল্ডেন ডাক।
আফ্রিদির ফুল লেংথ বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। ওই গতির বল বুঝেই উঠতে পারেননি সাইফ। বল গিয়ে লাগে প্যাডে। প্রথমে জোরালো আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান।
ওয়াসিমের অফ স্টাম্পের বাইরে সাধারণ লেংথের বলে ফুটওয়ার্ক না করেই ব্যাট চালিয়ে দিলেন নাঈম। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় স্লিপে দাঁড়ানো ফখর জামানের হাতে।
৮ বলে ২ রান করে সমাপ্ত হয় নাঈমের ইনিংস। এই দুই ওপেনারের বিদায়ে মাঠে জুটি গড়ায় ব্যস্ত হন আফিফ ও শান্ত।
কিন্তু দারুণ সম্ভাবনাময় ইনিংস বাজেভাবে শেষ করেন আফিফ। শাদাব খান ডেলিভারিট করার আগেই রিভার্স সুইপের পজিশনে চলে যান আফিফ। শাদাব বল দেন একটু টেনে। আফিফের ব্যাটের মাথায় লেগে বল ওঠে ওপরে। সহজ ক্যাচ নেন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
২১ বলে ২০ রান করে আউট হলেন আফিফ। শান্তর সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি ভাঙে। গত ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আজ দারুণ কিছু শট খেলেছেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ভালো জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।
কিন্তু শান্তকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৩তম ওভারে হারিস রউফের ৪র্থ ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল।
থার্ডম্যানে গ্লাইড করার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় কিপারের গ্লাভসে। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরের পথে রওনা দেন মাহমুদউল্লাহ।