চাকরি যেন সোনার হরিণ। বিশ্বজুড়ে এই সোনার হরিণের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছে লাখ লাখ তরুণ। তবে চাকরির আশায় বসে না থেকে অল্প বয়সেই শুরু করে সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুরু করেন আরিয়ান আহমেদ।
দেখতে দেখতে ২৩ বছরের পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এবং এই সেক্টরে রয়েছে তার সাফল্যের প্রতিচ্ছবি, আরিয়ান আহমেদ একাধারে একজন সংগীত শিল্পী,উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল মার্কেটার!
“Ariyan Ahmed নামে নিজের একটি ফেজবুক ফ্যান পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। মূলত ফেসবুকের সুরক্ষাজনিত সমস্যা সমাধান এবং সাইবার নিরাপত্তা তৈরির জন্য কাজ করছে আরিয়ান। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন।এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের প্রমোশন করে থাকেন অনলাইন এর মাধ্যমে, ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইনফ্লুয়েন্সার্ মার্কেটিং-এসবই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। তরুণ এই উদ্যোক্তা মনে করেন, ‘বর্তমান যুগে সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র।
আরিয়ান আহমেদ বলেন,সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে ,এবং প্রর্যাপ্ত ধৈর্য্য থাকতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এই সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু অজ্ঞতা নিয়ে বারবার শুধু অসফলতার দিকেই আসতে হয়।আর এই বার বার ব্যার্থতা নিয়েই ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে পারলে সফলতা হাতছানি দিবেই একদিন। এর জন্য সবার প্রথমে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার। কি ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে লাখো মানুষ সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।মানুষের চাহিদা এবং রুচিবোধ বুজা খুবই প্রয়োজন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, আর সাইবার নিরাপত্তা এর ক্ষেত্রে প্রয়োজন নিজেকে সচেতন এবং কারো প্রলোভন এ না বুজে পায় দেওয়া যাবেনা।
তিনি আরো জানান, অনেকেই ভাল কনটেন্ট তৈরি করেও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের জন্য সবসময় কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখেন। তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরুতে পার করেছেন অনেক ধরনের বাধা বিপত্তি। তাই ডিজিটাল দুনিয়ার কাজ করতে আসা তরুণরা যেন বাধার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আরিয়ান আহমেদ, তার নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজ জায়গা থেকে। এটি বর্তমান তরুণদের জন্য অনেক বড় একটা সমর্থন পাওয়া যাবে অনেকেই আশা করেন। এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব।
একজন সাইবার নিরাপত্তা কর্মী এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আরিয়ান বিশ্বাস করেন সফলতার কোন শর্টকাট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে উঠে। যেখানে মানুষের কাজের কোনো সত্যতা নেই সেখানে কাজের প্রকৃত সম্মান পাওয়া যায় না। প্রকৃত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের সততা ঠিক রেখে কাজ করা উচিত।
আরিয়ান আহমেদ এর কাছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর। আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন সকলেরই একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে,আর সেই পরিকল্পনা করে সফল হওয়ার আগে সেই পরিকল্পনা কারো থেকে শেয়ার করা টাও জীবনের বড় ভূল।
তাই নিজের জায়গা থেকে নিজেকে পরিবর্তন করে তুলতে প্রয়োজন চেষ্টা এবং সঠিক পরিশ্রম ।তিনি বিশ্বাস করেন যে,পরিশ্রম সাহস আর সততা, এই তিন মিলে আসবে সফলতা।