টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে যেন প্রথম ইনিংসের ভুত ভর করেছিল। আগের ইনিংসের চেয়ে আরও দ্রুত ৪ উইকেটের পতন ঘটে। শেষ বেলায় যাতে আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার আউট না হন, সেজন্য লিটন দাসের বদলে পাঠানো হয় অভিষিক্ত ইয়াসির আলীকে। অবশ্য মুশফিক আর ইয়াসির ভালোভাবেই তৃতীয় দিন শেষ করেছেন। মুশফিক ১২* আর ইয়াসির ৮* রানে অপরাজিত। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৯ রান। লিড হয়েছে ৮৩ রানের।
৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। দলীয় ১৪ রানে সাদমান ইসলামকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিপদের শুরু। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে লেগ বিফোর হয়ে ১ রানে ফিরেন সাদমান। স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই শাহিন আফ্রিদির বলে ‘ডাক’ মারেন নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। অধিনায়ক মুমিনুল হকও ভরসা দিতে পারেননি। তিনিও হাসান আলীর ২ বল খেলে ‘ডাক’ মেরে ফিরেন।
সাইফ হাসান কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। তার ৩৪ বলে ১৮ রানের ইনিংসটি থামে সেই শাহিন আফ্রিদির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে। ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ মহাবিপদে পড়ে। শেষ বিকালটা কাটিয়ে দিতে মুশফিকের সঙ্গে যোগ দেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী। দুজনে মিলেই তৃতীয় দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। মুশফিক ৩০ বলে ১২* আর ইয়াসির ৩৪ বলে ৮* রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৯ রান। লিড হয়েছে ৮৩ রানের।
প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অল-আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রথম ইনংস ২৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে একাই ধসিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। ওপেনার আবিদ আলী ২৮২ বলে ১৩৩ রান করেন। অন্য ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের ৫২ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটার চল্লিশের ঘরেও যেতে পারেননি।