ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সিদ্ধান্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই বিতর্কে জড়িয়েছেন ক্রিকেটভক্তরা।
দেশটির সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে ‘কিং’ তকমা দিয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলীর বোর্ড।
আর তাতেই রেগে আগুন ম্যান ইন ব্লুর অধিনায়ক বিরাট কোহলির ভক্ত-অনুরাগীরা। তাদের দাবি, ভারতীয় দলে কিং বলতে একজনই আছেন। আর তিনি হচ্ছেন বিরাট কোহলি।
বিতর্কের শুরুটা বিসিসিআইয়ের টুইটারে ভারতীয় দলের একটি ছবি পোস্টের পর।
উল্লেখ্য, জাতীয় দল থেকে অবসরের পর ধোনির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে ভারতীয় বোর্ড। এবারের বিশ্বকাপ দলে কোহলিদের মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন ধোনি।
নতুন চাকরির বিষয়ে ধোনিকে শুভেচ্ছা জানাতেই রোববার সেই ছবি পোস্ট করে বিসিসিআই। যেখানে দেখা যায়, আরব আমিরাতের মাঠে দলের খেলোয়াড়দের ব্যাটিংয়ের একটা মুভমেন্ট শেখাচ্ছেন ধোনি। পাশেই ভারত দলের টিম ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তারা।
ক্যাপশনে লেখা হয়— ‘রাজাকে (কিং) অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। মেন্টর হিসেবে নতুন ভূমিকায় টিম ইন্ডিয়ায় ফিরে এলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি।’
আর সেই পোস্টের পরই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কোহলির ভক্তদের একাংশ। এ নিয়ে ফেসবুক, টুইটারে কোহলির পক্ষে পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে।
সৌরভের বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতীয়রা কোহলির ছবি পোস্ট করে লিখছেন— একজনই রাজা আছেন।
কেউ কেউ লিখছেন— ‘শব্দটা হলো কিং। একটি দলে দুজন রাজা থাকতে পারে না। একটিই রাজা, তিনি হলেন— কিং কোহলি।’
কেউ কেউ ধোনির ছবি জুম করে বিরাটের ছবি দেখিয়ে বলেছেন— ‘ইনিই আসল রাজা।’
ভক্ত-অনুরাগীরা ক্ষেপে গেলেও ধোনিকে কিং বলায় হয়তো আক্ষেপ নেই কোহলির। সতীর্থ থাকাকালীন মাঠে বা ড্রেসিংরুমে ধোনি ও কোহলির মধ্যে কখনও রেষারেষির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোহলি বরাবরই সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে বাড়তি সম্মান দিয়েছেন।
গত শনিবারও ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন কোহলি। বলেন, ‘আমাদের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ধোনি আমাদের মেন্টর ছিলেন। এবার খাতাপত্রে একই কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এবার দলের তরুণরা ধোনির অভিজ্ঞতা ও তথ্য থেকে উন্নতি করতে পারবে। দল লাভবান হবে।’