পানছড়ি উপজেলার জুমে এবার সাথী ফসল তিলের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। জুম চাষিরা তাই মহাখুশি। জুমের অনেক ফসল উঠে গেলেও তিল, আদা, হলুদ এখনো জুমেই শোভা পাচ্ছে। উঁচু-নিচু পাহাড়ের বুকে মৃদু হাওয়ায় দুলছে তিল গাছ। সবুজের মাঝে সাদা রঙের তিলের ফুল দেখতেও দৃষ্টিনন্দন।
তিল মূলত জুমের সাথী ফসল। ধানের সাথে মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, মরিচ, ভুট্টা, বেগুন, কাউন, সিনরা ও মামরার সাথী ফসল কালো তিল ও সাদা তিল। একই সাথে বাঁশের নির্মিত মাচার ওপর ঝোলে শশা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গা। এসব ফসল একসাথে রোপন করা হলেও তোলা হয় পর্যায়ক্রমে। পাহাড়ি সম্প্রদায়ের কাছে জুম মরিচ বেশি জনপ্রিয়। সবসময় এর দামও বেশ চড়া। মরিচের পরই দামে সেরা জুমের তিল।
জুমচাষী নিপুন ত্রিপুরা, সন্তোষ ত্রিপুরা এবার অনেক খুশি। অনুকূল আবহাওয়া ও উপযোগী বৃষ্টির ফলেই ফলন ভালো হয়েছে। তিল জৈষ্ঠ্য মাসের শুরুতে রোপন করা হলেও তুলতে তুলতে কার্তিক মাসের শেষ ও অগ্রহায়ণ চলে আসে বলে জানান। মরাটিলা এলাকার বাদশা কুমার কার্বারী জানান, এলাকার বেশিরভাগ মানুষ জুম চাষের ওপর নির্ভর। চাষিদের পরিশ্রমের ফল হিসেবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ফলন বাম্পার বলে জানালেন।
পানছড়ির উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুনাংকর চাকমা জানান, পানছড়ির শুধু জুমেই তিল চাষ হয়। আনুমানিক ১৫ হেক্টর জুমে তিল চাষ হয় যার সম্ভাব্য উৎপাদন ২২.৫ মেট্রিক টন। তবে সব তিল জেলার বাইরে রপ্তানি হয় বলে জানান।