২০১৫ সালের মধ্যে তাইওয়ান পুরোদমে হামলা চালাতে পারে। চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে দ্বীপটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুয়ো-চেং এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন টানা চার দিন চীনের রেকর্ড সংখ্যক (১৫০টি) সামরিক বিমান তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
চীনের সাথে তাইওয়ানের গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক বিরাজ করছে উল্লেখ করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘ভুলক্রমে’ গোলাগুলি শুরু হয়ে যেতে পারে।
তাইওয়ানের ওপর চীন এখনই হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে স্বীকার করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুয়ো-চেং বলেন, আগামী দিনগুলোতে এই হামলা চালানো অনেক সহজ হয়ে আসবে। তবে কেন তার এই আশঙ্কা সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। কিন্তু তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করেছে।
চলমান উত্তেজনার জন্য বেইজিংকে দোষারোপ করে আসছে তাইওয়ান। অন্যদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে চীন।
চীনের সর্বশেষ পাঠানো বিমানবহরে ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান ও পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোমারু বিমান ছিল বলে অভিযোগ তাইওয়ানের। স্থানীয় সময় গত সোমবার চারটি চীনা যুদ্ধবিমান প্রাতাস দ্বীপের পাশ দিয়ে উড়ে যায়। তাইওয়ান সরকারের দাবি, প্রাতাস দ্বীপ তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা।
চীনে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা শাসন ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে বলে চীন ক্রমশই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়ান যাতে এমন কোন ঘোষণা না করেন সেটা চীন ঠেকাতে চায়।
সাম্প্রতিক সময়ে খোলাখুলিভাবে চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শন নিয়ে তাইওয়ানের সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে এখন উত্তেজনা বেড়ে গেলেও তা ১৯৯৬ সালের পর্যায়ে পৌঁছেনি।