যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য সৌদি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ করাচি বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের এ সামরিক মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সামরিক সহযোগিতা জোরদার’।
তবে মহড়ার দিন-তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে দুপক্ষের বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো এ মহড়ার উদ্দেশ্য। খবর আরব নিউজ ও ইরনার।
পাকিস্তান সম্প্রতি রাশিয়া ও কাতারসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের ঘন ঘন সামরিক মহড়া চালানোর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে— এ অঞ্চলে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মোকাবিলায় নিজেদের প্রতিরক্ষা শক্তিকে জোরদার করা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের ইমরান সরকার জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য এ ধরনের সামরিক মহড়াকে বেছে নিয়েছে, যাতে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় সরকারের শক্তি ও আন্তরিকতার প্রমাণ দেওয়া যায়।
সম্প্রতি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে আফগানিস্তানের তালেবানসহ অন্য আরও বহু বিষয়ে ইসলামাবাদের নীতিতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরানের আফগানিস্তানবিষয়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইয়্যেদ আব্বাস হোসেইনি এ ব্যাপারে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজ পাকিস্তানের প্রতি তালেবানের নির্ভরশীলতার বিষয়ে অবহিত আছে।
তালেবানকে সমর্থন দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে ব্যাপক সামরিক মূল্য দিতে হয়েছে এবং এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
আকাশ, স্থল ও নৌপথে অন্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ সামরিক মহড়ার অন্যতম একটি প্রভাব হচ্ছে অন্য সব কিছুর তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো।