‘শাহীনের’ আঘাতে ইরানে ছয়জন এবং ওমানে তিনজন নিহত হয়েছেন।
রোববার আঘাত হানা এই ঝড়ে ওমানের উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটিতে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ছাড়া ভারি বর্ষণের কারণে দেশটির একটি শিল্পাঞ্চলে পাহাড় ধসে দুই এশীয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। খবর সাউথ চায়না পোস্টের।
ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে ভারি বর্ষণে ডুবে গেছে ওমানের অনেক এলাকা। দেশটির উপসাগরীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাসকাটে সব ধরনের বিমানের ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ স্থগিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশের চাবাহার বন্দরে রোববার এ ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন।
ওমানের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওমানে স্কুল বন্ধ করা হয়েছে এবং রবি ও সোমবার দুদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কেন্দ্রটি রাজধানী মাসকাট থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ছিল।