আফগানিস্তানের আকাশপথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বড় অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে দেশটির। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোও।
আফগানিস্তানের গণমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানায়।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সাবেক সরকারের পতনের পর থেকে আফগানিস্তানের আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির সরকারের আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (৭ মিলিয়ন ডলার)।
এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এ সময়ের মধ্যে যেসব এয়ারলাইন্স তাদের প্রস্তাবিত ফ্লাইটের রুট বন্ধ বা পরিবর্তন করেছে, তাদের ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক দুই কোটি মার্কিন ডলার (২০ মিলিয়ন ডলার)।
কাবুল বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সব ধরনের ফ্লাইট আবার চালু হবে।
আফগানিস্তানের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির আকাশপথ ব্যবহারের জন্য বছরে ৫ বিলিয়ন আফগানির বেশি শুল্ক আয় হতো।
দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হামায়ুন আসগার বলেন, আকাশপথ বন্ধ হওয়ার কারণে এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর অন্তত দুই কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে সরকারের ক্ষতি আনুমানিক ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
হাকিম রিশাদ নামের এক বিশ্লেষক বলেন, এয়ারলাইন্সের সমস্যার কারণে এর ওপর নির্ভর করা শিল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আফগান এয়ারলাইন্সের সূত্র জানায়, সাবেক সরকারের পতনের আগে কমপক্ষে ১১টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা সক্রিয় ছিল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ফ্লাইট স্থগিত করেছে এবং অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলো ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কাবুল বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে উপযোগী।
কাবুল বিমানবন্দরের প্রধান আব্দুল হাদি হামদান বলেন, আগে প্রতিদিন চারশর বেশি উড়োজাহাজ আফগানিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতো। প্রতিটি ফ্লাইট থেকে আফগানিস্তান ৭০০ ডলার করে পেত।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছাড়েন বিদেশি সেনারা। এর মধ্যে কাবুল দখলে নেয় তালেবান।