ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার উৎপাত বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শেষ করার আগের দিন কাবুল বিমানবন্দরে তারা শক্তিশালী আত্মঘাতী হামলা করে। এছাড়া সম্প্রতি তালেবানের ওপরও বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে তারা।
তালেবান ২০ বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করার আশ্বাস দিয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু আইএসের তৎপরতায় তাদের নিরাপত্তা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। এমন অবস্থায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তালেবান।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তালেবান আইএসের প্রতি অনুগত যেকোনো শক্তিকে নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইএসকেপির সাবেক নেতা জিয়াউল হককে তারা হত্যা করেছেন। এছাড়া আইএসকেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নানগর থেকে গ্রুপটির ৮০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার ছয় সপ্তাহের মধ্যে আইএসকেপি কাবুল, জালালাবাদ এবং মাজার-ই-শরীফে হামলা চালায়। এছাড়াও দেশটির নানগরহার প্রদেশ এবং জালালাবাদ শহরে অনেকগুলো পৃথক হামলা চালিয়েছে আইএসকেপি। তাদের সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে সাধারণ নাগরিকসহ তালেবান সদস্যদেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। টেলিগ্রাম মেসেজে আইসকেপি দাবি করেছে, জালালাবাদের হামলায় কমপক্ষে ৩৫ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যদিও তালেবান তা অস্বীকার করেছে।