সহিংসতা যত বাড়ছে দেশটির সরকারপন্থি নাগরিকরা ততই পাকিস্তানের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন। লাখ লাখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী টুইটারে পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনসাইট কোম্পানি ‘টকওয়াকার’ এর বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ‘স্যাঙ্কশনঅনপাকিস্তান’ (পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হোক) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন ৭ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
তুরস্কভিত্তিক টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, অনলাইন এই ক্যাম্পেইনটি এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে যখন- আফগান সরকার তালেবানের অগ্রযাত্রা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের ওপর এই মুহূর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে আফগান নাগরিকদের কোনো লাভ হবে না। কারণ এতে তালেবান থামবে না। বিদ্বেষমূলক এমন প্রচারণায় পাকিস্তান বরং রাগান্বিত হয়ে সীমান্ত বন্ধ করে শরণার্থী প্রবেশ আটকে দিতে পারে। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান নাগরিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে ‘ন্যারেটিভস: দ্য ইউজেস অ্যান্ড পাওয়ার অব স্টোরিস ইন দ্য আফগানিস্তান কনফ্লিক্ট’ বইয়ের লেখক থমাস জনসন বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট মানুষ আছে যারা সকল কাজে পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, এই দোষ দেওয়া খুব সোজা। কিন্তু আমি মনে করি, আফগানিস্তানের মাঠের পরিস্থিতি আরও জটিল।
তালেবানের অগ্রগতির পেছনে আশরাফ গনি সরকারের ব্যর্থতা দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাকে কাবুল সরকারের দুর্নীতির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এই সরকারের বৈধতার অভাবসহ বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আরও অনেক কারণ আছে।
পাকিস্তান বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পাকিস্তান বিরোধী’ এ ধরনের প্রচারণা এর পূর্বে ভারত করেছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফ বলেন, এখানে (তালেবানের অগ্রগতিতে) আমাদের কোনো দোষ নেই। আপনি আফগানিস্তানের মানচিত্রের দিকে তাকান। তালেবান যত অঞ্চল দখল করেছে তার বেশিরভাগ পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে।