স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংযোগ থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে বাস করা ৬৯ ফিলিস্তিনি ও জর্দানের বাসিন্দাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী এক আদালত। গতকাল রবিবার সৌদি আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২২ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের ঘোষণা দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার এই ফিলিস্তিনি ও জর্দানের নাগরিককে আটক করা হয়। সৌদি আদালত দেশটির সঙ্গে হামাসের দীর্ঘদিন সম্পর্ক রক্ষা করা দলটির সাবেক নেতা মোহাম্মদ আল-খুদারিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপরদিকে তার ছেলে হানি আল-খুদারিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির কাছে মোহাম্মদ আল-খুদারির ভাই আবদুল মজিদ জানান, তার বিরুদ্ধে এই আদেশে অর্ধেক সাজা মওকুফের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৮২ বছর বয়সী আল-খুদারি দুই দশকের বেশি সময় সৌদি আরবে হামাসের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সৌদি রাজপরিবার, প্রশাসন ও নিরপত্তা সংস্থার সঙ্গে হামাস নেতৃত্বের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ২০১৯ সালের এপ্রিলে আটকের আগ পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর আগে জানিয়েছিল, আল-খুদারিকে আটকের পর তাকে আইনি সহায়তা দিতে কোনো আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হামাস আরব বিশ্বের জনসাধারণের কাছে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারবিরোধী লড়াই করা প্রতিরোধ সংগঠন হিসেবে পরিচিতি, যদিও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রশাসনও দীর্ঘদিন হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন এবং সৌদি আরবের শাসনক্ষমতায় যুবরাজ মোহাম্মদ ইবনে সালমানের উত্থানের পর এই চিত্রে পরিবর্তন আসে।