নদী আর পরিবেশ দূষণের প্রভাবে এর সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাজমহল।
সম্রাট শাহজাহান স্ত্রীর প্রতি নিজের ভালোবাসা জানান দিতে নির্মাণ করেছিলেন তাজমহল। আজ সারা পৃথিবীতেই তা ভালোবাসার স্বীকৃত এক প্রতীক।
প্রতিবছর সারা পৃথিবী থেকে কয়েক লাখ দর্শনার্থী আসেন অমর প্রেমের এই নিদর্শন দেখতে। ভারতের সবচেয়ে দর্শনীয় এই স্থাপনাটি দেখতে গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ পাড়ি জমান আগ্রায়।
তবে পরিবেশ আর যমুনা নদীর অতিমাত্রার দূষণের প্রভাবে সৌন্দর্য হারাচ্ছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া এই স্থাপনা। পরিবেশবিদদের অভিযোগ দিল্লির কলকারখানার ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন বর্জ্য যমুনা নদীতে ফেলায় ঘটছে এই অস্বাভাবিক দূষণ।
যমুনা নদীর অন্তত ৮০ শতাংশ দূষণের জন্য দায়ী দিল্লি। আগ্রার কাছে এর স্রোত কমে যাওয়ায় দূষণ ঘনীভূত হয়ে তাজমহলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তবে আগ্রার মেয়র বলছেন দূষণ থাকলেও বৃষ্টিপাতের কারণে ময়লা আবর্জনা ভেসে যাওয়ায় তা থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত দূষিত পদার্থ গুলোকে ভাসিয়ে নেয়ায় নদীর পানি এখন অনেক পরিস্কার। তাজমহল নদীর খুব কাছে হওয়ায় দূষণের মাত্রাও বেশি। তবে পানি বাড়লে তা কমে যাবে।
যমুনার দূষণ ছাড়াও পরিবেশে বাড়তে থাকা ব্ল্যাক কার্বনের কারণেও ঝুঁকিতে পড়েছে স্থাপনাটি। এসব দূষণের প্রভাবে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই নতুন সপ্তাশর্যটি।