সাঁথিয়া উপজেলার করমজা পশু হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কোরবানির পশু হাট বসেছে। তবে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ এই পশুর হাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
হাট কমিটির পক্ষ থেকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা খুব একটা কাজে লাগতে দেখা যায়নি। ফলে করোনার উচ্চ সংক্রমণের এই সময়ে বিষয়টি মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।
প্রচুর গবাদি পশুর আমদানি দেখা গেলেও হাট কমিটির লোকজন জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে হাটে মাত্র এক চতুর্থাংশ পশু আমদানি হয়েছে। কঠোর বিধি নিষেধের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় দূর থেকে হাটে পশু কম এসেছে।
হাটে আসা গৃহস্থ ও খামারিরা জানান, হাটে কোরবানির প্রচুর পশু উঠলেও ক্রেতা ছিল বেশ কম। ফলে এর আগের হাটগুলোর চেয়ে মঙ্গলবার পশুর দামও ছিল কিছুটা কম। হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে গরুর দাম অন্য হাটগুলোর চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ছিল।
হাটে গরু নিয়ে আসা সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছর ধইর্যা দুইটা গরু পালতেছি। আশা করিছিল্যাম গরু দুইটার দাম কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকা হবি। কিন্তু এর দাম উঠিছে মাত্র এক লাখ আশি হাজার টেকা।’
সরেজমিনে হাট ঘুরে গাদাগাদি করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবস্থান করতে দেখা যায়। অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি।
হাটে গরু নিয়ে আসা বেড়ার পেঁচাকোলা গ্রামের খামারি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মাস্ক পইড়্যা হাটে আইসিল্যাম। কিন্তু গরমে মুখে মাস্ক রাখা যায় না। তাই পকেটে রাখিছি।’
হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, ‘গরুর হাট বিধিনিষেধের বাইরে। তাই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের হাটে আজ আমরা প্রায় সাত হাজার মাস্ক বিনা পয়সায় বিতরণ করেছি। এছাড়া স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও দুই থানার ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা করমজা পশুর হাট পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা হাটে স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হচ্ছে কি না সে ব্যাপারটি তদারকি করেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়ার ইউএনও এসএম জামাল আহমেদ বলেন, ‘চলমান বিধিনিষেধ অনুযায়ী অস্থায়ী হাট বসায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিয়মিত হাটগুলোর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।