কোরবানির ঈদে করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের খামারিদের মধ্যে বড় বড় পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। গত বছরের মতো এবারও করোনার সংক্রমণ না কমায় ঈদুল আযহা যতই ঘনিয়ে আসছে, খামারিদের মধ্যে পশু বিক্রি নিয়ে শংকা ততই বাড়ছে।
জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের খামারি আবুল হোসেনের। তিনটি পশুর নাম রেখেছেন ভৈরব, সুখী ও মধুমতি। ভৈরবের ওজন ৪৫ মণ। আর সুখীর সাড়ে ৪২ মণ ও মধুমতির ওজন সাড়ে ৩২ মণ। বিশাল আকৃতির এই গরু তিনটি প্রতিদিন লালন-পালন করতে বেগ পেতে হচ্ছে খামারি পরিবারের সদস্যদের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এদের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করছেন খামারির বাড়িতে।
খামারি আবুল হোসেন বলেন, করোনার কারণে গত বছর কোরবানিতে গরু তিনটি বিক্রি করতে পারেননি। এবারও বিক্রি নিয়ে শংকায় রয়েছেন। গরু তিনটির খাবারের জন্য প্রতিদিন তিন হাজার টাকা ব্যয় হয়। দেশীয় ফল-মূল, ঘাষ-কুটো খাওয়ায়ে বড় করেছেন। এই ব্যয় বহন করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনাও করতে হয়েছে। তারপরও হাল ছাড়েনি তিনি।
খামারি বলেন, ভৈরবের দাম ৪৫ লাখ টাকা, সুখীর দাম ৪০ লাখ ও মধুমতির দাম ২০ লাখ টাকা দাবি করছেন তিনি।
খামারের দেখভালে নিয়োজিত হাসান বলেন, খুব যত্নে গরু তিনটি লালন পালন করেছেন। এত বড় গরু এর আগে তাদের খামারে লালন করা হয়নি। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার গোসল করানো হয়। প্রতিটি গরুকে ঘাস, ফলমূল, শাক-সবজির পাশাপাশি ১০ কেজি করে দানাদার খাবার খাওয়ানো হয় বলে জানান তিনি।
প্রতিবেশি আলামিন শেখ বলেন, আশপাশের লোকজন এখানে এসে ভিড় করে। অনেকে আবার গরুর সঙ্গে ছবিও তোলে। তিনিও আশা করছেন, খামারি যেন ন্যায্য মূল্য পায়। তার জানামতে, এত বড় গরু এই জেলায় আর নেই।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ‘জেলায় দিন দিন খামারির সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর ধরে ফ্রিজিয়ান, শাহী ওয়াল, ব্রাহমা জাতের ষাড়ের পালন বেড়েছে। বাগেরহাটে বড় বড় ষাঁড়গুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না।