উদ্ভিদটি রাজশাহী অঞ্চলে ‘দুধসর’ নামে পরিচিত। কৃষি বিজ্ঞানী এনায়েত আলী জানান, এই পাতার রস অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বহু বছর ধরেই ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলের আদিবাসীরা এর ব্যবহার বেশি করেন।
করোনা সংক্রমণ শুরু হলে কৃষি বিজ্ঞানী এনায়েত আলী গবেষণা শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মনে হয়, দুধসর গাছের পাতায়ও সারবে করোনা। তারপর থেকে প্রয়োগ করেন অনেকের ওপর। তার দাবি এতে সফলতা মিলেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বরেন্দ্র অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এনায়েত আলী বলেন, ‘দুধসর গাছের পাতার রসে অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এইটা জানার পর বিশদ গবেষণা শুরু করি। এরপর আমি বড় ভাইয়ের ওপর প্রয়োগ করার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি দুধসর গাছের পাতার রস খেয়ে অনেকেই করোনা মুক্ত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, দুধসর গাছের পাতার রস খাওয়ার পর খুব দ্রুত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এছাড়া অক্সিজেন লেভেলও বৃদ্ধি পায়।
করোনার মুক্তির আশায় পেশাজীবী ছাড়াও এখানে আসছেন অনেকেই।
করোনার প্রতিষেধক হিসেবে অনেকেই নিয়মিত এই গাছের পাতার রস খাচ্ছেন। রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ (সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) এনায়েত কবীর সরকার জানান, তার সহকর্মীদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে, তারা দুধসর গাছের পাতার রস খাওয়ার পর থেকে শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আরো গবেষণার পর মানুষের উপর প্রয়োগ করা উচিত।