ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা আরো বাড়ানোর যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
গাজায় সহিংসতা চলছেই। ১০ মে থেকে চলমান সহিংসতায় কমপক্ষে ২১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৬৩ জন শিশু। সহিংসতার ঘটনায় আরো প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এদিকে, সহিংসতার ঘটনায় ইসরায়েলে ১২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এ ছাড়াও কমপক্ষে ৩০০ ইসরায়েলি আহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতা নিয়ে যুদ্ধবিরতির কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হলেও খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর গত এক সপ্তাহে তিনবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে এখন পর্যন্ত হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কোনো বিবৃতি নিরাপত্তা পরিষদ দিতে পারেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি জানিয়েছেন, আরো বেশি সংখ্যক বিশ্বনেতাকে শান্তি প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তাঁর নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদেরও এতে সম্পৃক্ত করার দাবি তুলেছেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব কেবল নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আটকানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম অত্যাধুনিক ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অস্ত্র ইসরায়েলের কাছে বিক্রি করার অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। গত সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অব্যাহত প্রাণঘাতী হামলা সত্ত্বেও মার্কিন আইন প্রণেতারা ওই অস্ত্র বিক্রির চুক্তিতে বাধা দেবেন না বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গতকাল এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে লেবানন থেকে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলের সীমানায় আসার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এসব রকেটের উত্পত্তিস্থল লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়।
লেবানন সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শেবা ফার্মস এলাকা থেকে তিনটি রকেট ছোড়া হয়। তবে কারা এই রকেট হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি।