একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। ২-১৮ বছর বয়সিদেরও যাতে এই টিকা দেওয়া যায় তার জন্য ২/৩ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল ভারতীয় টিকাপ্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে এই ট্রায়ালের ছাড়পত্র দিয়েছে।
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককেই ইতোমধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১৮ বছরের কম বয়সিদের দেওয়ার জন্য ছাড়পত্র পায়নি এই টিকাদুটি। এবার সেই চাহিদাও পূরণ হবার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কোভ্যাক্সিনের ২/৩ পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সাফল্যের উপর। এই ট্রায়ালে অনুমতি চেয়ে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্যানাইজেশনের (সিডিএসসিও) কভিড-১৯-এর জন্য তৈরি সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। এরপর এই টিকার ট্রায়ালের অনুমতি পেল সংস্থাটি।
করোনার নতুন ধরণ নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। কারণ ভরতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। যা গত বছরের করোনায় সেভাবে চোখে পড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কভিড-১৯-এর প্রথম ঢেউ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর থাবা বসিয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউটি আরও বেশি প্রাণঘাতী ও আক্রমণাত্মক। আর তৃতীয় ঢেউ বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। আর সেই কারণেই আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন।
কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালে সফল হলে পরবর্তীতে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিরাও টিকা নেওয়ার আওতায় পড়বে। জানা গিয়েছে, দিল্লি ও পাটনার এইমসে এবং নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে এই ট্রায়াল হবে।
এদিকে, ১ মে থেকে ভারতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও দেশটির অধিকাংশ জায়গা থেকেই টিকার ঘাটতির কথা জানা যাচ্ছে। যে কারণে রাজ্যগুলিকে দ্বিতীয় ডোজের উপরই বেশি জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র সরকার। তবে গতকাল মঙ্গলবার টুইট করে ভারত বায়োটেক জানায়, ১ মে থেকে দেশের ১৮টি রাজ্যে টিকা সরবরাহ করছে তারা।