মহামারির তৃতীয় তরঙ্গের সঙ্গে লড়াই করছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে থমকে গেছে। সন্তানদেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন সে দেশের মা-বাবারা। দিন যতই গড়াচ্ছে, সন্তানদের অভিভাবকরা আরো হতাশ হয়ে পড়ছেন।
গাল্ফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার জেরে বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত করেছে পাকিস্তান সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না চালু করে অনলাইনে ক্লাসের দিকেও ঝুঁকেছে দেশটি।
এমনকি চূড়ান্ত পরীক্ষা পর্যন্ত বিলম্বিত করা হয়েছে। এসব কারণে, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকা অভিভাবকরা আরো হতাশ হয়ে পড়েছেন।
অথচ, করোনাকালেও সন্তানদের পড়াশোনার জন্য তাদের নানা ধরনের ফি দিয়ে যেতে হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের সন্তানরা তেমন কিছুই শিখতে পারছে না।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের ফেডারেল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পাকিস্তান সরকার এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি সত্ত্বেও তারা পরীক্ষা সম্পন্ন করবে। কিন্তু গত সপ্তাহের সরকারি সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্যানুসারে, পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে াাট লাখ ৫০ হাজার ১৩১ জন এবং মারা গেছে ১৮ হাজার ৬৭৭ জন।