এতে ক্ষোভের পাশাপাশি ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা পরিবারের। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে নিখুঁত তদন্তের স্বার্থেই কিছুটা দেরি হলেও এ মাসেই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
২০২০ সালের ১০ই অক্টোবর। রাত তখন পৌনে ৩টা। নগরীর কাষ্টগড় স্যুইপার কলোনী থেকে রায়হানকে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যায় ইনচার্জ এস আই আকবর ও তার সহকারীরা। কয়েক ঘন্টা চলে পাশবিক নির্যাতন। ভোরে রায়হানের নিথর দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে পুলিশ।
ঘটনা জানাজানি হলে, দোষীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় সারা দেশ। গ্রেপ্তার করা হয় ভারতে পালিয়ে যাওয়া মামলার প্রধান আসামি এস আই আকবরকে। বরখাস্ত করা হয় ৮ পুলিশ সদস্যকে। এরমধ্যে ৫ জন রয়েছেন কারাগারে। আর অভিযুক্তদের কাছ থেকে নেয়া হয় জবানবন্দি।
তবে, হত্যাকাণ্ডের সাত মাস হতে চললেও এখনো অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রায়হানের মা সালমা বেগম। সময়ক্ষেপণের ফলে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হতে পারে; এমন শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে স্বজনদের মনে।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, করোনার বিরূপ পরিস্থিতি ও নিখুঁত তদন্তের স্বার্থে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে। তবে, চলতি মাসেই অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপনের কথা জানান পিবিআই সিলেট’র পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান।
রায়হান হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ই অক্টোবর সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরপর তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।
এদিকে, আকবরকে পালাতে সহায়তাকারী কথিত সাংবাদিক নোমানকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।