রেলপথে স্থলবন্দর দিয়ে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে সরকারিভাবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। চলতি মাসেই আমদানি করা এসব চালের (৭ ওয়াগনে আসা ৪০৬ মেট্রিকটন) গুণগতমান নিয়ে সমস্যার কারণে চাল নেওয়া বিরত রয়েছে খাদ্য বিভাগ। বর্তমানে এসব চাল তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে সরকারি (জি-টু-জি) উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে সান্তাহারে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারিভাবে আনা এসব চালের ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল বগুড়ার সান্তাহারে অবস্থিত আঞ্চলিক খাদ্যগুদামে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেলপথে আসা ট্রেনের ৭ ওয়াগনে (৪০৬ মেট্রিকটন চাল) বিবর্ণ রঙয়ের হওয়ায় চাল নিতে অসম্মতি জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। গত চার-পাঁচ দিন ধরে এসব চালের ওয়াগনগুলো সান্তাহার জংশন স্টেশনের মালগুদাম এলাকায় একটি ও কলেজ রোডে ছয়টি রাখা হয়েছে।
এসব চালের গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ২০ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চালগুলো পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর সীদ্ধান্ত নিবে খাদ্য বিভাগ।
উপজেলার সান্তাহার আঞ্চলিক খাদ্যগুদামের ব্যবস্থপক দুলাল উদ্দিন খান বলেন, যেসব চাল খালাস করা হয়নি সেসব চাল নষ্ট নয়। সাত ওয়াগনে রাখা ৪০৬ মেট্রিকটন চালগুলোর গুণগত মান নিয়ে সমস্যার কারণে তদন্ত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে যেসব চালের সমস্যা রয়েছে সেগুলো ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে বুঝে দেওয়া হবে এবং বাঁকি চালগুলো নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষাকালে ভারত থেকে আসা চালগুলোর মধ্যে কিছু বস্তায় বির্বণ দানার চাল বেশি পেয়েছি। এখন পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে,