বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম জানান, কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমন এজাহারে উল্লেখিত ৪ নম্বর আসামি। সকালে কুচাইতলীতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন সুমন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজীম।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মামলার আসামি।
গেল সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সোহেলসহ আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে পাঁচ ঘণ্টা পর কাউন্সিলর ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
কাউন্সিলর সোহেলের মাথায় তিনটি এবং বুকে দু’টি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হয়। আর হরিপদ সাহার বুকে ও পেটে দু’টি গুলি লাগে।