রবিবার, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স হলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তাকে ধরে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। দেশ আজ সারাবিশ্বে মর্যাদার আসনে আছে। এই অগ্রযাত্রা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুযায়ী ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সশস্ত্র বাহিনীকে শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, ১৫ই আগস্টের পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সামনে নিয়ে আসা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের সম্মান দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। যাদের ত্যাগে স্বাধীনতা তাদের যে কোন দলীয় পরিচয়ের উর্দ্ধে ওঠে সম্মান জানাতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ১৫০ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এসময় তিনবাহিনীর প্রধানকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এর আগে, রবিবার সকালে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অর্নার জানায়। শ্রদ্ধা জানানো শেষ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।