করোনা নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপকে জরুরি বলে দাবি করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যালেক্সান্ডার শ্যালেনবার্গ।
শুধু জরুরি ও খাবার কেনার মতো কোন কাজের জন্যই বাইরে বের হতে পারবেন তারা। অন্তত ৬৫ শতাংশ নাগরিক টিকার আওতায় আসলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ১০ দিনের এই লকডাউনে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের টিকাসনদ যাচাইয়ে কাজ করবে পুলিশ। তবে বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অনেক নাগরিক। এদিকে ইউরোপ জুড়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারি সিদ্ধান্ত নিতে পারে যুক্তরাজ্য।
চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেন, রেকর্ড মাত্রায় সংক্রমণের বৃদ্ধি মোকাবেলায় অস্ট্রিয়া সোমবার পর্যন্ত করোনভাইরাসটির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়নি এমন লাখো লোককে লকডাউনে রাখছে।
ইউরোপ আবার কভিড-১৯ মহামারির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তাই অনেক দেশের সরকারকেই ফের লকডাউনের কথা বিবেচনা করতে হচ্ছে।
অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে কভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে। যা পশ্চিম ইউরোপের সর্বনিম্ন হারগুলোর মধ্যে একটি। আর এর কারণ, অনেক অস্ট্রিয়ানই ভ্যাকসিন সম্পর্কে সন্দিহান।
নেদারল্যান্ডস আংশিক লকডাউন দিয়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে, যা সকলের জন্য প্রযোজ্য। অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, তারা সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এড়াতে চায়।
অস্ট্রিয়ার ৯টি প্রদেশের গভর্নরদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সের পর শ্যালেনবার্গ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের অবশ্যই টিকা দেওয়ার হার বাড়াতে হবে। এটি লজ্জাজনকভাবে কম।
১২ বছর বা তার কম বয়সীদের লকডাউনে থাকতে হবে না। টিকা না-দেওয়া ব্যক্তিরা কেবল সীমিত পরিসরে তাদের বাড়ি থেকে বের হতে পারবে- যেমন কাজ করতে বা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যাওয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রী উলফগ্যাং মুকস্টেইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি প্রাথমিকভাবে ১০ দিন।
শ্যালেনবার্গের রক্ষণশীল দল এবং পুলিশসহ অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, এ ধরনের লকডাউন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে কারণ এটি শুধুমাত্র জনসংখ্যার একটি বিশেষ অংশের জন্য প্রযোজ্য। শ্যালেনবার্গ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার বলেন, তবে পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি যাচাই করবে।