পরিস্থিতি মোকাবিলায় আদালতের নির্দেশের জবাবে দিল্লি রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, লকডাউন আরোপের জন্য প্রস্তুত তারা।
ভয়াবহ দূষণে নাকাল ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি ও আশেপাশের এলাকা। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে আছে শহরটির রাস্তাঘাট। দিনের বেলাতেও যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। প্রায় একই অবস্থা হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে রাজ্যেও।
করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে ঘরের ভেতরেও মাস্ক পড়ছেন নয়া দিল্লির বাসিন্দারা। বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন তারা। কমে গেছে দৃষ্টিসীমা, শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্য দিয়েছে অনেকের মধ্যে।
এদিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা ‘আইকিউএয়ার’ এর জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহরের তালিকায় ভারতের রাজধানীর অবস্থান এখন এক নম্বরে। সেখানকার বাতাসের মান ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয় দেশটির আদালত। এরপরপরই সোমবার থেকে দিল্লির সব স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের নির্মাণ কাজও।
এদিকে আশেপাশের এলাকায় লকডাউন জারি না করে শুধু দিল্লিতে বিধিনিষেধ আরোপ করলে পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হবে না বলে জানিয়েছে কেজরিওয়াল প্রশাসন।
প্রতিবছর শীতকালে হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফসলের উচ্ছিষ্ট অংশ পোড়ানোর পাশাপাশি দিপাবলীর আতশবাজিতে ভয়াবহ দূষণে ভোগে দিল্লি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এবছরও বন্ধ করা যায়নি সেই কার্যক্রম।