রবিবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার এ ক্ষমতা খর্ব করেন। তাকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তার বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের ঘটনার ৩৮ দিন পর কেন মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। ভবিষ্যতে সঠিক তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেন আদালত। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ যেন মামলা গ্রহণ না করেন, সে বিষয়েও রায়ে বলা হয়।
বিচারকের এমন পর্যবেক্ষণের প্রতিবাদও জানায় বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিচারকের ওই বক্তব্য বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া, বিচারকের ওই পর্যবেক্ষণ এখতিয়ার বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রায়ের কপি হাইকোর্টে আসার পর রায় পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।