নিউজ ডেস্ক : আজ শনিবার সকালে কারওয়ানবাজার রেব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রাইদা পরিবহণের এক বাসের চালক রাজু এবং তার সহকারী ইমরানকে টঙ্গী এবং আবদুল্লাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসাথে বাসটিকেও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা শিশুকে মরিয়মকে বাস থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাইদা বাস থেকে শিশু মরিয়মের পড়ে যাবার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে ভিকটিমের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিল না। কিন্তু শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত পড়ার আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব এর পরিচালক (মিডিয়া উইং) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বাসচালক ছিল রাজু যার বয়স ২৫ বছর। আর হেলপার ছিল ইমরান তার বয়স ৩৩ বছর। টঙ্গী ও আবদুল্লাপুর থেকে তাদের দুইজনকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় রাইদা বাস থেকে শিশুটিকে ফেলে দেয়া হয়। আহত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। সেখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে আবারও মরদেহ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটিকে ফেলে দেয়ার সময় বাসে চালক ও হেলপার ছাড়া আর কেউ ছিল না বলে জানা যায়।