রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন। এস কে সিনহা ছাড়াও অন্য আসামিদের মধ্যে ৭ জনের তিন বছর এবং অপর একজনের ৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকি দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে এ রায় পড়া শুরু করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

এর আগে, দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চলতি বছরের ১৪ই সেপ্টেম্বর এই মামলায় রায়ের জন্য ৫ই অক্টোবর দিন ঠিক করে আদালত। তবে সেদিন অসুস্থতার কারণে বিচারক ছুটিতে থাকায় রায়ের জন্য ২১শে অক্টোবর রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। রায় প্রস্তুত না থাকায়,  দ্বিতীয় দফায় পিছিয়ে ৯ই নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এস কে সিনহাসহ এই মামলায় মোট আসামি ১১ জন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন,ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসইভিপি) ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র প্রস্তুতের আগে মৃত হিসেবে প্রমাণ মেলায় এক আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও নতুন একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলা থেকে নাম বাদ দেয়া হয় ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদকে। অপরদিকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় দুটি চলতি হিসাব খোলেন। এর পরে ওই বছরের ৭ই নভেম্বর তারা দুই কোটি করে চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ আবেদনপত্রে দুজনই সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করেন। ঋণ আবেদনে জামানত হিসেবে রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী সান্ত্রী রায় সিমির সাভারের ৩২ শতাংশ জমি দেখানো হয়। এই দুজনই এস কে সিনহার পূর্বপরিচিত।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ঋণ আবেদন দুটি কোনোরকম যাচাই-বাছাই করা হয়নি। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ এবং ব্যাংকের কোনও নিয়মনীতিও মানা হয়নি।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.