নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। টাইব্রেকারে ইউরোপা লিগ জয়ীদের হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা উল্লাসে মাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ব্লুজরা।
বেলফাস্টের উইন্ডসর পার্কে মুখোমুখি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের দুই চ্যাম্পিয়ন। পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল নামিয়েছিলো দুই কোচই। ভের্নার, হাভার্জদের নিয়ে ৩-৪-২-১ ফরমেশনে দূর্বার চেলসি। অন্যদিকে মরেনোদের নিয়ে ৪-৪-২ এর ক্লাসিক ফরমেশনে ভিয়ারিয়াল।
আক্রমনাত্মক খেলতে থাকা চেলসি গোল পেয়ে যায় শুরুতেই। ২৭ মিনিটে কাই হাভার্জ়ের পাসে সহজ ফিনিশিংয়ে দলকে লিড এনে মরক্কোর মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েচ। দারুন শুরু চেলসির।
হাফ টাইমের পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভিয়ারিয়াল বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করে। সমতা সূচক গোল পেয়ে যায় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে। জিয়ার ব্যাকপাসে জোরালো শটে দলকে ম্যাচে ফেরান জেরার্ড মরেনো।
এরপর দুই দলই সুযোগ পায় বেশ কিছু তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই। তবে গোল বার ও দুই কিপারের দৃঢতায় ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে।
অতিরিক্ত সময়ের খেলায়ও দুই দলের ফরোয়ার্ডরা ব্যর্থ হলে টাইব্রেকারে যায় চেলসি ও ভিয়ারিয়াল। ১১৯ মিনিটে মূল গোলরক্ষক মেন্ডিকে বসিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কেপাকে নামান টুখেল। বাজির দান কাজে লেগে যায় ব্লুজদের। পেনাল্টি শুটআউটে দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
এই নিয়ে ৪৭টি সুপার কাপ ম্যাচের মাত্র তিনটি গড়ালো টাইব্রেকারে এবং সবকটিতেই জড়িয়ে চেলসির নাম। ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখ ও ২০১৯ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। তবে এবারে আর মিস করেনি চান্স। মৌসুমের প্রথম শিরোপা উল্লাস করে ইংলিশ ক্লাবটি।