বিএনপি নেতারা বলছেন, এর মধ্যদিয়ে দলে যে শুদ্ধাচার শুরু হয়েছে তার ধারবাহিকতা থানা-ওয়ার্ডসহ মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও থাকবে। তবে, কমিটিতে নাম না থাকাকে অপ্রত্যাশিত বলছেন পদ না পাওয়া অনেক নেতা। তাদের দাবি, বলয়ের রাজনীতির কারণেই বহু যোগ্য নেতার ঠাঁই হয়নি আহ্বায়ক কমিটিতে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পরে চলতি মাসের শুরুতে ঢাকার দুই মহানগর কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। বহুদিন পর দলের সবচেয়ে শক্তিশালী এই দুই ইউনিট সবধরনের প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ কমিটি পেয়েছে বলে দাবি নেতাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘দলের মধ্যে কোনও ব্যক্তি বলয় নেই, আমাদের অনেক শুভাকাঙ্খী থাকতে পারে, আমাদের অনেক বড়ভাই আছেন। আমরা প্রত্যেকেই কারও না কারও সাথে রাজনীতি করেছি কিন্তু এখানে কোনও বলয় নেই। দলের একমাত্র বলয় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে ঐতিহ্যগত যে বিষয় ছিলো, সেই ট্রেডিশন ভেঙে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দিনবদলের যে ডাক দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতা আজ দৃশ্যমান।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নবীউল্লাহ নবী বলেন, ‘সুস্থ একটা কমিটি হয়েছে। এই কমিটিতে নেতাদের মাধ্যমে কোনও পদ বাণিজ্য হয়নি এবং কোনও বলয়ের কমিটি না।’
এই কমিটিকে স্বাগত জানালেও নানা প্রশ্ন আছে পদ পাওয়া ও না পাওয়াদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রবিউল আলম রবি বলেন, ‘পাওয়া না পাওয়ার প্রশ্ন সব কমিটিতেই থাকবে। কিন্তু, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবেন তখন অনেক কিছুই সামনে আসবে। তবে, আমার কাছে মনে হয়েছে দল যেটা ভালো মনে করেছে তাই করেছে।’
হতাশা নয়, বরং বাদ পড়াদের জন্যও সুখবর আসছে বলে জানালেন নেতারা।