ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁইছুঁই। শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নাম্বার গেটের সামনে ভিড়। চলছে উৎসবমুখর মিছিল আর অজিবধের স্লোগান। লকডাউন কিংবা পুলিশের বিধিনিষেধ মানার যেনো বালাই নেই। সিরিজ জয়ের পর ক্রীড়াপ্রেমী ভক্তদের কণ্ঠে এবার অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার হুঙ্কার।
এক খুদে ভক্ত তো বলেই দিয়েছেন ‘অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেই দেশে পাঠাবো।’ অনেকের মাঝেই দেখা যাচ্ছে অজিদের নানা শর্ত নিয়ে ক্ষোভের প্রকাশ করতে, কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স বাজে হওয়ায় তাদের ছাড়ছেন না সফরকারীদের নিচে নামাতে। এই ভক্তদের ভিড় ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিম বাস বের হওয়া অব্দি। প্রধান ফটক দিয়ে যখন টিম বাসের মাথা বেরোতে দেখা যায় তখনি রাজ্যের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে শুরু হয় অজিবধের স্লোগান।
আর বাংলাদেশ টিমকে আহ্বান অস্ট্রেলিয়াকে যেনো হোয়াইটওয়াশ করা হয়। তাইতো; বাংলাদেশের সামনে যে এবার সেই সুযোগ। এর আগে কখনো অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কখনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজই খেলেনি লাল সবুজের দল। বিশ্বকাপের আসরে ৪টি ম্যাচ খেলে ৪টিতেই হার। এবার প্রথম সিরিজ খেলতে নেমেই বাজিমাত; ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ৩টিতেই জয়। একেবারে দানে দানে তিন দান। এবার পালা ধবলধোলাই।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলিয়ে ৩৬টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে। তার মধ্যে ৮টিতে জিতেছে। আর একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি ভাগাভাগি করেছে। তারমধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২টি, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১টি, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১টি সিরিজ জিতেছে। তার মধ্যে আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার সুখস্মৃতি আছে। এবার হাতছানি দিচ্ছি অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বলছেন একই কথা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করার পর বলেছেন, ‘আমরা ৩-০ তে আছি। সিরিজ জিতেছে। আমাদের সুবর্ণ সুযোগ আগামীকালও একটা ম্যাচ জেতার।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে ২৩ রানে। ১৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অজিরা অলআউট হয় ১০৮ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ৮ বল বাকি থাকতে জিতে ৫ উইকেটে। আর তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১০ রানে।
সিরিজ জয়ের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বাংলাদেশ নামবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলতে। সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে।