সাদাকালো যুগে বাংলা আর হিন্দি সিনেমায় একের পর এক হিট উপহার দিয়েছেন। তার কণ্ঠ মানেই রূপালি পর্দায় আলোর ঝলকানি। অভিনয় করেছেন। প্রয়োজনা করেছেন চলচ্চিত্র। তিনি বাঙালি মহান শিল্পী কিশোর কুমার। আজ ৯৩তম জন্মদিন তার।
বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অহমিয়া, গুজরাটি, ভোজপুরী, ওড়িয়া, মালায়লাম কিংবা উর্দুসহ উপমহাদেশের বেশিরভাগ ভাষাতেই গান গেয়ে জয় করেছেন কোটি কোটি শ্রোতার হৃদয়। বিশ্বসংগীতের নানা ধারার গায়কী রপ্ত করে সমৃদ্ধ করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক সংগীতকে। বড়ভাই চিত্রনায়ক অশোক কুমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাত্রা শুরু করেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। গানের পাশাপাশি অভিনয়েও ছিলেন সমান সফল। বৈচিত্র্যময় গায়কী আর প্রথাবিরোধী চেতনার মধ্য দিয়ে কিশোর কুমার তৈরি করেন এক সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী সংগীতধারার।
শাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি পপ, ব্যালাড থেকে শুরু করে ইউরোপীয় সংগীত সবক্ষেত্রেই ছিল তার অসামান্য দক্ষতা। সমসাময়িক যেকোনো চিত্রনায়কের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় ছিলেন গায়ক কিশোর কুমার। সংগীতে অনবদ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিতে পেয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ বহু সম্মাননা।
১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর মারা যান বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পী কিশোর কুমার। যুগ যুগ ধরে তার কন্ঠ মাতিয়ে রেখেছে উপমহাদেশের সংগীতপ্রেমীদের।