আমেরিকার অতীত সমীকরণে নেইমারদের ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেসির আর্জেন্টনা। দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতায় এখনো পর্যন্ত ১৪ বার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, ৯ বার কোপায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল।
সে অর্থে ফাইনালে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
হেড টু হেড পরিসংখ্যানেও এগেয়ে আর্জেন্টিনা। এখনো পর্যন্ত ৩৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। আর্জেন্টিনা জিতেছে ১৫ ম্যাচে আর ১০ ম্যাচে জিতে ব্রাজিল। বাকি ৮ ম্যাচ ড্র হয়।
গোল করার দিক থেকেও ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মেসির দেশ কোপায় ব্রাজিলের বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত ৫২টি গোল করেছে; অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিল করেছে ৪০টি গোল।
তবে সব প্রতিযোগিতায় দুই দলের সাক্ষাতে এগিয়ে ব্রাজিল। এখনো পর্যন্ত দুই দেশ পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ১০৭ ম্যাচে। তার মধ্যে ৩৯টিতে জিতেছে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল জিতেছে ৪৩টি ম্যাচে। ড্র হয়েছে ২৫টি ম্যাচ। আর্জেন্টিনা গোল করেছে ১৬১টি আর ব্রাজিল করেছে ১৬৬টি।
এসব পরিসংখ্যানকে মাথায় নিয়েই রোববার সকালে মারাকানায় শিষ্যদের মাঠে নামাবেন কোচ তিতে।
আর্জেন্টিনাকে রুখে দিতে কেমন হবে তার একাদশ? এখনই জানতে আগ্রহী ব্রাজিলভক্তরা।
যদিও এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলেননি তিতে, তবে কয়েকজনকে মাঠে দেখা যাবে নিশ্চিত। বাকিটা সম্ভাবনা।
সেমিফাইনালে গোলমুখের প্রহরী এডারসনকেই রাখবেন তিতে। ফাইনালে তার হাতেই দেখা যাবে গ্লাভস। অধিনায়কত্ব করবেন থিয়াগো সিলভা। নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ম্যাচে নেই ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
গ্রুপপর্বের ম্যাচে চিলির লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখে উড়ন্ত লাথি মেরে লালকার্ড দেখেনে ম্যানসিটির এই ফরোয়ার্ড। পরে জানানো হয় ২ ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। সে হিসেবে সেমির মতো ফাইনালেও তাকে দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে। জেসুসের অনুপস্থিতিতে একাদশে জায়গা হতে পারে গ্যাব্রিয়েল বারবোসার।
ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না ফেলিপ্পে। বেশ কয়েকদিন ধরেই ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি।
মার্কিউনোস, থিয়াগোর সাথে রক্ষণ সামলাবেন রেনাল লোদি। জুভেন্টাসের রাইট ব্যাক দানিলো বেশ চাঙা আছেন। তাকেও মাঠে নামাবেন তিতে।
মাঝ মাঠে ক্যাসেমিরো ও ফ্রেড খেলছেন নিশ্চিত বলা যায়।
আক্রমণে লুকাস পাকুয়েতা কেন চান নেইমার। গত দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে এই জুটি। গোলও পেয়েছে তারা।
এছাড়া আক্রমণভাগে ফিরমিনো, রিচার্লিসনকে দেখা যেতে পারে।