ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
কিন্তু দলের তরুণদের ব্যর্থতায় ব্রাদার্সকে বড় টার্গেট ছুড়ে দিতে পারেনি তার দল।
এজন্য অবশ্য কৃতিত্বটি ব্রাদার্সের পেস বোলিং অলরাউন্ডার আলাউদ্দিন বাবুর।
ডিপিএলে এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করলেন তিনি। ৩.১ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন বাবু। তার এমন বোলিং পারফরম্যান্সে রূপগঞ্জকে ১১১ রানেই বেঁধে ফেলেছে বাদার্স ইউনিয়ন।
একের পর এক ব্যাটসম্যান ধরাশায়ী হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
২৮ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কার মারে ৩৮ রান করেছেন তিনি, যা দলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে জাতীয় দলের এক সময়ের হার্ডহিটার সাব্বির রহমান রুম্মনের ব্যাট থেকে।
একটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ১৮ বলে ২৩ রানের কেমিও ইনিংস খেলেছেন তিনি।
ওই একটি ছক্কা মারার পরের বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির।
ব্যাট হাতে নামার পর সাব্বির যেভাবে খেলছিলেন, ধারণা করা হচ্ছিল আজ বড় স্কোর করবেন তিনি।
তবে সে ধারণা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি।
৭৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর মতো পরিস্থিতিতেও দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন সাব্বির।
১৬তম ওভারের শেষ বলে ১০ রান করে জাকির আলি আউট হয়ে গেলে মেজাজ হারান সাব্বির।
পরের ওভারে সাকলাইন সজিবের দ্বিতীয় বলে সোহাগ গাজী সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইকে আসেন সাব্বির।
ব্রাদার্সের এই বাঁহাতি স্পিনারের তৃতীয় বলটি ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান তিনি।
চতুর্থ বলটিও সীমানার বাইরে পাঠাতে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারেন। অনেকটা সফলও হন। কিন্তু টাইমিংটা ভালো না হওয়ায় একদম সীমানার কাছে আবদুল কাইয়ুমের হাতে তালুবন্দী হন।
২৮ রানেই সমাপ্তি ঘটে সাব্বিরের ইনিংসের। সাব্বিরের আউটের পর বাকি ব্যাটসম্যানরা আর দাঁড়াতেই পারেনি।
ডেথ ওভারে আলাউদ্দিন বাবুর হ্যাটট্রিক পারফরম্যান্সের সুবাদে মাত্র ১১১ রানেই থেমে গেছে রূপগঞ্জের ইনিংস।
সোহাগ গাজী ২ ও মোক্তার আলি ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।