মাটিরাঙ্গায় আবুল বাশার হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করেছে পুলিশ। ঘাতক মো. আবদুস সালামের কাছে পাওনা টাকা চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আবুল বাশারকে হত্যা করে ঘাতক মো. আবদুস সালাম ও তার সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন প্রকাশ সাগর। হত্যার পর আসামিরা লাশ গুম এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।
শুধু তাই নয়, হত্যাকারীরা নিজে পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ের খাদ থেকে মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্ত শেষে জানজা এবং দাফনের কাজে অংশগ্রহণ করে। এমনকি নিহতের পরিবারের সদস্যদের বাজার খরচও দেন হত্যাকারীররা।
মো. আবদুস সালাম ও আনোয়ার হোসেন প্রকাশ সাগর এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ সব তথ্য জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজি জানান, আধুনিক তদন্ত পদ্বতি, গুপ্তচর সহায়তা ও পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে হত্যাকাণ্ডের তিন দিনেন মধ্যে ‘ক্লু লেস’ এ হত্যা মামলাটির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে বাড়ি ফেরার পথে মাটিরাঙ্গাধীন বেলছড়ি ইউনিয়নের বাংলাটিলা (পাঞ্জাবী টিলা) এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল বাশারকে নিজের মুরগীর খামারে ডেকে নেয় মো. আবদুস সালাম। এক পর্যায়ে আবদুস সালামের কাছে পাওনা সাড়ে তিন লাখ টাকা চাইলে আবুল বাশারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুস সালাম প্রথমে লাঠি দিয়ে আবুল বাশারের মাথায় আঘাত করেন। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরেন। এ সময় সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন প্রকাশ সাগরের সহায়তায় হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে নিহত আবুল বাশারের বাড়ির পাশে পাহাড়ের খাদে মরদেহ ফেলে দায়ের উল্টো দিক দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর হত্যাকারীরা খামারে ফিরে এসে ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত ধ্বংশ করে।
শুক্রবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।