হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে টাকা আত্মসাৎ এর সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে। ভিজিএফ এর ১৪৭৮ জনকে ও জিআর এর ৫৫৫ জনকে মোট ৯ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৫০ টাকা ঈদ এর আগে টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন তিনি। ডাংগীপারা ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষগুলো ভাতাভোগীর তালিকায় নাম থাকার পরেও ভাতা পাননি, তারা হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে গত ১৬ মে সকাল ১১টায় হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল সরেজমিনে তদন্ত করে ,টাকা আত্মসাতের সত্যতা পান। পরে তদন্ত কর্মকর্তা হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক অভিযোগ পাওয়ার পরে ২৭ মে ইউএনওকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ৪নং ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব ষড়যন্ত্র করছেন।
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমি তদন্ত করে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাই। পরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মামলা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম বলেন, তদন্ত রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছিলো। সেই মোতাবেক ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২৮ মে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করি।