এসব জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করতে এক হাজার ৪শ’ ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আগামী মাস থেকে শুরু হতে পারে প্রকল্পের কাজ, যা ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা।
বর্তমানে তিস্তা সেচ প্রকল্পে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ১২ উপজেলার ৫০ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এতে কৃষকদের খরচ কমার পাশাপাশি, উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুন।
প্রকল্পের পরিধি বাড়াতে সম্প্রতি এক হাজার ৪শ’ ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। যার আওতায় ৭শ’ ৬৬ কিলোমিটার সেচ খাল শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ৭২ কিলোমিটার সেচপাইপ স্থাপন ও ১১ কিলোমিটার এলাকায় স্লোপ প্রটেকশন দেয়া হবে।
যা বাস্তবায়ন হলে এক লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। এতে প্রতি বছর এক লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন অন্যান্য খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তরাঞ্চল) জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, ‘বর্তমানে যে ফসল হচ্ছে তার চাইতে এক হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করতে পারবো।’
কৃসকরা বলেন, ‘এতে আমরা খুশি হলেও, ভরা মৌসুমে পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চাই আমরা। সকালে পানি দিলে বিকেলে পানি থাকে না শুকিয়ে যায়। কেনেল পাঁকা করলে আমাদের ভালো সমাধান হবে। নিয়মিত সেচ পেলে আরো ভালো ফসল হবে আশা করি।’
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও আন্দোলন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন,’ক্ষরার সময়ে ইরি-বোরো চাষে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা আরো লাভবান হবেন বলে আশা করি।’