আইপিএল মাঝপথে বন্ধ না হলে এবং সাকিব পরবর্তী ম্যাচগুলোয় সুযোগ পেলে হয়তো ভারতের মাটিতেই মাইলফলক ছোঁয়া হয়ে যেত। কিন্তু ভাগ্যবিধাতা যেন অন্যরকম কিছুই ঠিক করে রেখেছিলেন। বিশ্বেসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান তার ক্যারিয়ারের ১০০০তম উইকেটটি পেলেন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যে স্টেডিয়াম সাকিবের কাছে ঘরের মতোই।
আজ রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারলেও দারুণ বোলিং করছেন সাকিব। হাড়কিপ্টে বোলিংয়ের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিসের (২৪) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এই শিকারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি আইসিসি স্বীকৃত সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে সাকিব হাজারতম উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। আজকের ম্যাচে নামার আগে তার উইকেটসংখ্যা ছিল ৯৯৯। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে প্রথম তিন ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে সাকিব ৯৯৯ এ আটকে ছিলেন।
প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ এবং স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাকিব এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ২০০৫ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে ভুসিমুজি সিবান্দাকে এলবিডাব্লিউ করে প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৫টি দলের হয়ে আইসিস স্বীকৃত এসব ফরম্যাট খেলেছেন। তবে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি অর্ধেকের বেশি উইকেট পেয়েছেন। বাংলাদেশে সাকিবই প্রথম নন; ১০০০ উইকেট নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলার আবদুর রাজ্জাক। যিনি বর্তমানে জাতীয় দলের নির্বাচক।