সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পিকআপ ভ্যান, ভাড়া করা গাড়ি, লেগুনা ও মোটরসাইকেলে করে বাড়ির পথে ছুটছেন তারা। সাভারে আজ গার্মেন্টস কারখানাগুলো ছুটির পর মহাসড়কে চাপ আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১০টির বেশি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক গাড়ি। এদিকে, চেকপোস্টে উপযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে অনেককেই ঘাটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মত ভিড় করছে ঘরমুখো মানুষ।
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ভেঙে ভেঙে, বিকল্প পথে বাড়ি যাচ্ছে অনেকে। দ্বিগুণ বা তারও চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে, গাদাগাদি করে গাড়িতে ওঠায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
অনেকে দিনের বেলায় কোনো যানবাহন না পেয়ে মধ্যরাতেও বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন। কেউ কেউ রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে মোটরসাইকেলেও যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এভাবে করোনার উচ্চ ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ।
ঘরমুখো এই মানুষেরা ছুটছেন নাড়ীর টানে, তাই যেনো কোনো বাধাই তাদের সামনে বাধা নয়। সরকার যেনো অন্তত ঈদ কে কেন্দ্র করে হলেও চালু করে দেয় দূর পাল্লার যানবাহন, সেই দাবি ই জানালেন ঘরমুখো এই মানুষেরা।