নামের মিলে মাদক মামলায় দণ্ডিত এক নারী আসামির পরিবর্তে চট্টগ্রাম কারাগারে দেড় বছর ধরে কারাভোগ করছেন আরেক নারী। অভিযোগ, এ ঘটনায় মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ জড়িত। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মামলাটির দণ্ডপ্রাপ্ত ও নিরপরাধ দুজনের বাড়িই টেকনাফে। এ ঘটনা আদলতকে জানাতে টেকনাফ থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৭ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি নগরের কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যেরটেকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন টেকনাফের চৌধুরী পাড়ার ইসমাইল হাজির বাড়ীর হাসিনা আক্তার তার স্বামী হামিদ হোসেন ও দুই শিশু সন্তান।
মামলায় ৯ মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান হাসিনা আক্তার। পরে, আসামির অনুপস্থিতিতে ২০১৯ সালের ১লা জুলাই আদালতের দেয়া রায়ে হাসিনা আক্তার ও তার স্বামীকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা আক্তারের পরিবর্তে টেকনাফ চৌধুরী পাড়ার হোসন বর বাড়ির হাসিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন, টেকনাফ থানার ওসি ছিলেন প্রদীপ।
ভুক্তভোগী হাসিনা বেগমের ছেলে শামীম নেওয়াজ বলেন, ‘আমার মা’কে ডেকে পুলিশ একটা স্বাক্ষর দিতে বলে। এরপর বলে তোমার মাইয়ের নামে মামলা হয়েছে, এখন চালান করে দিচ্ছি।’
কারাগারে থাকা হাসিনা বেগমের বয়স ৪০ বছর আর আসল আসামির বয়স ৩০ বছর। টনা জানাজানির হওয়ার পর বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন এক আইনজীবী।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, আসল আসামির নাম হাসিনা আক্তার আর যাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তার নাম হাসিনা বেগম। এরপর থেকেই ভুক্তভোগী নারী অনেকটা বিনাদোষে কারাভোগ করছেন।
ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান আইনজীবীরা।
এদিকে, তিন সন্তানের জননী হাসিনা বেগম গ্রেপ্তার হওয়ার পর ক্ষোভে সংসার ছেড়ে চলে যান তার স্বামী।