গেল বছর টাঙ্গাইলের লৌহজং, বংশাই নদী ও সোহাগপুর খাল দূষণের দায়ে বড় তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা।
তবে, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দূষণের দায় পায়নি কর্তৃপক্ষ। এমনকি নদীতে কারখানার পরিশোধিত বর্জ্য ফেলা হয় বলে দাবি প্রতিষ্ঠানগুলোর। অথচ গবেষণা তথ্য বলছে ভিন্ন কথা।
দেখে বোঝার উপায় নেই এই নদীর পানি ছিল টলমল স্বচ্ছ? অবলম্বন ছিল জীবন জীবিকার? মৃতপ্রায় এই নদীর বুকে দ্রুত শেষ পেরেক ঠুকে দেয়ার জন্যই বিরামহীন ফেলা হচ্ছে কারখানার তরল বর্জ্য।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই নাসির গ্লাস কয়েক কিলোমিটার কনক্রিটের বড় ড্রেনের মাধ্যমে বংশাই নদীর কোদালিয়া অংশে, সাউথ ইস্ট সিমেন্টের পাইপের মাধ্যমে সোহাগপুর খাল ও বংশাই নদীর কোদালিয়া অংশে আর মহেড়া পেপার মিল লৌহজং নদীর বহুরিয়া অংশে তরল বর্জ্য ফেলছে।
এ বিষয়ে নাসির গ্লাস কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। মহেড়া পেপার মিল ইটিপি দেখাতে রাজি না হলেও বলেছেন তাদের তরল বর্জ্য পরিশোধিত। আর সাউথ ইস্ট কর্তৃপক্ষ বলছে- তাদের ইটিপি জৈবিক।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তাও মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন কোনো অনিয়ম না পাওয়ার। আর কিছুটা নদী দূষণের কথা স্বীকার করে জেলার শীর্ষকর্তা বললেন- জনবল সংকটের কথা।
গবেষকরা বলছেন- কেবল নদীর পানিই নয় দূষিত হচ্ছে মাটি ও বায়ু। আর এই দূষণ বর্ষায় চলে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। নদীর বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ীদের বিচার ও প্রতিকার চান স্থানীয়রা।