২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে তাদের মরদেহ।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা করেন। এসব মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৬ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। হত্যার তিন বছর পর ২০১৭ সালের ১৬ই জানুয়ারি আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত কাউন্সিলর নূর হোসেন, সাবেক রেব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দেন নিম্ন আদালত। বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২২শে আগস্ট এ মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয় হাইকোর্ট। বাকি ১১ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামিসহ ১৩ জন।
আপিল বিভাগে মামলার কার্যক্রম ধীর গতিতে চলছে বলে জানান নিহতদের স্বজনরা। নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতে বহাল থাকবে- এমনটাই আশা করছে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবার।
নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, “অন্তত বিচারটাও যদি হয়, তাহলে সন্তানরা এ ভেবে স্বস্তি পাবে যে বাবা হত্যার বিচার হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে শুধু বিচার চাই।”
নিম্ন আদালতের রায়, উচ্চ আদালতে বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল। তিনি বলেন, “জেলা জজ আদালতে যে রায় হয়েছে উচ্চ আদালতেও সে রায় বহাল আছে। এখন জানতে পেরেছি তারা আপিল বিভাগে আপিল করেছে। আমরা আশা করছি রায় বহাল থাকবে।”
নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি এলাকাবাসীর।