এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, বুধবার রাতে মামলাটি নেয়া হয়েছে। তদন্ত কাজ এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালে প্রথম বাদীকে ধর্ষণ করে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম। এরপর সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে তার গর্ভপাত করানো হয়। এরপর ঢাকার হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে তাকে একাধিকবার জোড়পূর্বক ধর্ষণ এবং সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বাদীর নিজ বাসায় বসে বাদীকে দুইদিনের মধ্যে বিয়ের প্রলোভনে পুনরায় ধর্ষণ করে জসীম। এরপর তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হলে জসীম বিবাহিত এবং বিয়ে করা সম্ভব না বলে জানায়।
এদিকে রবিবার (১৮ এপ্রিল) জসীম উদ্দিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় অপর এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ের পরের দিনই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী ডিবিসি নিউজকে জানিয়েছিলো, বুধবারের মধ্যে জসিমের পরিবার তাকে বউ হিসেবে গ্রহণ করলে তিনি থানা পুলিশ থেকে সরে আসবেন। তার দাবি না মানলে কঠোর আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিনের পরিবারের দাবি, এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। এর আগেও চক্রান্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে, জসীমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটির কাছে সুপারিশ করেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ।