প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবকটি ম্যাচেই খেলেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাটে-বলে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি।
তিনটি ম্যাচেই ব্যাটিং পেয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ মোট ৩৮ রান, আর বল হাতে শিকার করেছেন মাত্র ২টি উইকেট। ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইকরেট এক শ’র নিচে আর বোলিংয়ে রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি আটের ওপরে।
প্রথম ম্য্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১০ রানে জিতেছিল কলকাতা। সেই ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। পরের ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে হারা ম্যাচে ৪ ওভারে ২৩ রানে ১ উইকেট নেন। আর গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৯ বলে ৯ রান করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। গতকাল রোববার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে আরো বেশি হতাশ করেছেন সাকিব। বল হাতে দুই ওভারে ২৪ রান দেন। পরে তাকে আর বোলিং করাননি অধিনায়ক এউইন মরগান। এরপর ব্যাট হাতে খেলেছেন মন্থর এক ইনিংস। ২০৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জয়ের জন্য যখন ওভারপ্রতি প্রায় ১২ রানের মতো দরকার সেখানে তিনি খেলেছেন ২৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস।
তবে শুধু সাকিব একা নন, কলকাতার একাদশে থাকা অন্য তিন বিদেশি খেলোয়াড়ের কেউই আহামরি কিছু করতে পারেনি। যে কারণে এখন চতুর্থ ম্যাচের আগে নিজেদের একাদশ নিয়ে ভাবছে কলকাতা। সে ক্ষেত্রে স্পিনিং অলরাউন্ডার সুনিল নারিনকে একাদশে নেওয়ার ইঙ্গিতই দিলেন দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে সাকিবকে বাদ দেওয়ার কথা না বললেও দলের একমাত্র স্পিনিং অলরাউন্ডার হওয়ায় কোপটা সাকিবের ওপরেই পড়বে।
ম্যাককালামের ভাবনায় এখন নারিন আছেন। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। কোহলিদের কাছে হারের পর কলকাতার হেড কোচ বলেন, নারিন এখন আমাদের ভাবনায় আছে। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে হয়তো তাকে খেলানো যেত। তবে আমরা সাকিবকে নিয়েই খেলেছি। কারণ সে আগের দুই ম্যাচ ভাল করেছে এবং তার ব্যাটিংও আমাদের জন্য কার্যকর।
তিনি আরো যোগ করেন, তিন ম্যাচ শেষে এখন বলব, ছেলেরা ভালো খেলেছে তবে আমরা ফলটা পাইনি। এখন মুম্বাইয়ের উইকেটে হয়তো আমাদের নতুন কাউকে লাগবে।