৯ বলে ৯ রান করে সাকিব আল হাসান যখন আউট হয়ে ফিরছেন, তখনো কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। তখনো ২৮ বলে কলকাতার দরকার ৩১ রান, টি-টোয়েন্টির যুগে এ আর এমন কী! হাতে তখনো পাঁচ উইকেট, এর মধ্যে দুজন হচ্ছেন দীনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল।
কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে কাল এমন সমীকরণ থেকেও ম্যাচটা অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গেছে কলকাতা! চেন্নাইয়ে কাল মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে নেমে কলকাতা শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছে ৭ উইকেটে ১৪২।
কলকাতা–সমর্থকেরা নিশ্চিতভাবেই ফুঁসছেন। সে ক্ষেত্রে যদি শাহরুখ খানের কথায় তাঁদের একটু মন গলে আর কী! কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অন্যতম প্রধান মালিক বলিউডের এই অভিনেতা। তিনিও কাল কলকাতাকে এভাবে হারতে দেখে ভীষণ হতাশ। সাকিব-রাসেলদের ব্যর্থতার জন্য শাহরুখ কলকাতার সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এমনিতেই ক্রিকেটে এখন জুয়াড়িদের আনাগোনা, আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তা আরও বেশি।
কালকের ম্যাচেই ধরুন, রাহুল চাহার এত দারুণ বোলিং করলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে, কলকাতার প্রথম চার ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়েছেন। যশপ্রীত বুমরা-ট্রেন্ট বোল্টরা শেষ দিকে কী দারুণভাবে চেপে ধরেছেন কলকাতার ব্যাটসম্যানদের। সাকিবদের হারের তাই ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যাই আছে।
কিন্তু জুয়াড়িদের উৎপাতের কারণে ক্রিকেটের মতো অনিশ্চয়তায় পূর্ণ খেলাটার অনিশ্চয়তার রোমাঞ্চই এখন সংশয়ে ছেয়ে যায়। সংশয়বাদী মন প্রশ্ন তোলে, আসলেই এটা ক্রিকেটের অনিশ্চয়তা, নাকি অন্য কারও হাত আছে এখানে? কাল কলকাতার হারের পর সংশয়টা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।