উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জর্ডান। দেশটির সাবেক যুবরাজ হামজা বিন হুসেইন জানিয়েছেন, সরকারের সমালোচকদের ওপর দমনপীড়নের অংশ হিসেবে তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে। নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এমন দাবি করেছেন তিনি।
কথিত অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। ‘গৃহবন্দি’ প্রিন্স হামজা বিন হোসেন জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ-এর সৎ ভাই। ভিডিও বার্তায় তার দাবি, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তার বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং হয়রানির অভিযোগ তোলেন তিনি।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি রাখার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্স হামজাসহ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা সামরিক ‘অভ্যুত্থানচেষ্টার’ সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের উপজাতি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন প্রিন্স হামজা। এ ঘটনায় দেশটির সরকারের মধ্যে অভ্যুত্থানচেষ্টার আশঙ্কা জোরালো হয়। প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই উপজাতি নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন তিনি। তবে কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার খবর অস্বীকার করেছেন প্রিন্স হামজা।
জর্জানের মিত্র ও আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব এ ঘটনায় বাদশা আবদুল্লাহ-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের পক্ষ থেকেও বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে।
সৌদি রয়েল কোর্ট জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর গৃহীত সব পদক্ষেপের প্রতি রিয়াদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, বাদশাহ আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিষয়টি নিয়ে জর্ডানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান নেড প্রাইস।