সাদুল্যাপুরে চালকের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ছুরিকাঘাতের পর ছিনিয়ে নেওয়া গাড়িটি নিয়ে পালানোর সময় তিন যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। রংপুর থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে তারা সাদুল্যাপুরে আসে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নাকড়ি বাঁশের তল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় একজন পালিয়ে যায়।
আহত চালক মুকুল মিয়াকে (৩৬) উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ধানসালা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।
আটকরা হলেন, সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামের দুদু আকন্দের ছেলে শাহাদুল ইসলাম (২২), দক্ষিণ ফরিদপুর গ্রামের এখলাসের ছেলে এনামুল হক (১৮) ও একই গ্রামের তাজু আকন্দের ছেলে মোস্তাকিম (১৯), পলাতক রবিউল ইসলাম (২২) সাদুল্যাপুর উপজেলার খোদাবক্স গ্রামের গুরা আকন্দের ছেলে। আটকদের শনিবার আদালতে পাঠান হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার পর রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে চার যুবক অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে সাদুল্যাপুরের ফরিদপুর ইউনিয়নের মলংবাজার আসে। এরপর বাজারের পাশের নুরুলের টেকানির ইটভাটার কাছে অটোরিকশাটি পৌঁছলে চালক মুকুল মিয়াকে মারধর করে অটোরিকশার চাবি নেয় চার যুবক। পরে মুকুলের হাত-পা ও মুখ বেধে ফেলে তারা। এরপর চালকের ঘাড়ে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে রাস্তার পাশে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় চালক মুকুলের চিৎকারে নাকড়ি বাঁশের তল এলাকায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে ধাওয়া করে তিনজনকে আটক করে। তবে তাদের সঙ্গে থাকা রবিউল ইসলাম নামে এক যুবক পালিয়ে যায়।